কক্সবাজার টিএসসি এর ইতিহাস
নির্মল পরিবেশে সবুজ বেষ্টনিতে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে পূর্ব দিকে ৩ কিলোমিটার দূরে পর্যটন শহর কক্সবাজারে রুমালিয়ারছড়ায় মেইন রোডের পার্শ্বে ৩.১ একর জমির উপর এ প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। ১৯৬০ দশকে এ প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ৬০ দশকের শেষের দিকে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর পূর্বে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় পরিত্যক্ত ছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্থানের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭১ খ্রি: মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এই প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর এ পরিত্যক্ত ভবনে মিত্র বাহিনী ও বিডিআর বাহিনী পর্যায়ক্রমে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। ১৯৭৩ সালে মাত্র ২টি ট্রেড নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি “ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট” নাম ধারণ করে যাত্রা শুরু করে। তখন ২টি ট্রেডে মোট (২০+২০) =৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিল। ট্রেড ২টির নাম (১) রেডিও এন্ড টিভি যা বর্তমানে জেনারেল ইলেকট্রনিক্স এবং (২) অটোমোবাইল যা বর্তমানে অটোমেটিভ নামে পরিচিত।
২০০৩ খ্রি: “ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট” এর নাম পরিবর্তন করে “টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ” নামকরণ করা হয়। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ৩টি শিক্ষাক্রম চালু আছে। এগুলো হচ্ছে (১) জেএসসি (ভোকেশনাল) যার অধীনে ৬ষ্ঠ, ৭ম এবং ৮ম (২) এসএসসি (ভোকেশনাল) যার অধীনে ৯ম এবং ১০ম (৩) এইচএসসি (ভোকেশনাল) যার অধীনে ১১শ এবং ১২শ শ্রেণী চালু আছে। এসব ক্লাশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৩০০ জন। এছাড়া দুই শিফটে Motor Driving with Basics Maintenance এর উপর শর্ট কোর্স চালু আছে। প্রতিষ্ঠানের ভিতর ১ টি সুবিশাল খেলার মাঠ আছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস